বস্তাবন্দি লাশ’ উদ্ধারে গিয়ে যা পেল পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক • শ্যামলী বিপণিবিতানের পেছনে গণশৌচাগারের সামনে পড়ে ছিল একটি বস্তা। আর সেই বস্তা চুইয়ে লাল রঙের তরল পদার্থ বের হচ্ছিল। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে এসে এই দৃশ্য দেখে ভড়কে যায় শ্যামলী স্কোয়ারের সামনের এক ভাপা পিঠাওয়ালা। দৌড়ে এসে মার্কেটের লোকজনকে তিনি জানান, বস্তার ভেতরে রয়েছে লাশ।

এরপর আশপাশে ভিড় জমে মানুষের, খবর চলে যায় পুলিশের কাছে। ঘড়ির কাঁটা তখন বিকেল ৪টা ছুঁইছুঁই। শনিবার (৯ জানুয়ারি) বস্তা ঘিরে ক্রমেই বাড়ে উৎসুক মানুষের ভিড়।
এ সময় ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আদাবর থানা পুলিশের একটি ভ্যান। গণমাধ্যমকর্মীরা তখনও ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। ফোন করে বিভিন্নভাবে খোঁজ-খবর নেওয়ার পাশাপাশি ঘটনাস্থলের দিকে সবে ছুট দিয়েছেন ক্যামেরা নিয়ে।

অন্যদিকে পুলিশও চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের কাজ। ঘটনাস্থলে এসেই ধীর পায়ে বস্তার কাছে যায় তারা। চারপাশের শত শত চোখের দৃষ্টি তখন নিবদ্ধ প্লাস্টিকের সেই বস্তার দিকে। তবে বস্তাটি খোলামাত্রই যা বেরিয়ে আসে, তা দেখে উৎসুক জনতার উৎসাহে যেন ভাটা পড়ে যায়। লাশ ভেবে যারা আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলেন, তারা হাঁফ ছেড়ে হাঁটা দিলেন গন্তব্যে। নিমিষেই ফাঁকা হয়ে গেল জায়গাটি। বস্তা খুলতে তার ভেতর পাওয়া গেল শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের (এসি) কম্প্রেসার। পুলিশ কম্প্রেসারটি গাড়িতে তুলে নিয়ে থানার দিকে রওনা দেয়।

এরপর কয়েকটি গণমাধ্যমের কর্মী হাজির হয়ে দেখেন সেখানে কিছুই নেই। আশপাশের লোকজন জানায়, কে বা কারা কম্প্রেসারসহ বস্তাটি রেখে গেছেন তা জানা যায়নি। তবে মরিচা পড়া কম্প্রেসারে পানি পড়ায় সেই পানি লাল রঙ ধারণ করে চুয়ে মাটিতে পড়ছিল। আর তা দেখেই ভাপা পিঠা বিক্রেতা লাশ মনে করে ভড়কে গেলেন।